বৈশাখীর ক্রন্দন

The poet says that this year the spring came and went unnoticed. We all were busy fighting the coronavirus. The poet hopes that this situation is transient and that next spring will be joyous. He entreats God to help humankind to defeat the virus and that normalcy in our life may return. [Sketch: 3DVKARTS]

বৈশাখী বাতাসে কান পাতলে শুনি
ঘুণপোকার গান-
নৈঃশব্দের অন্ধকারে গুমরে গুমরে মরছে
অসহায় মানবতা-
হালখাতা থেকে সিদ্ধিদাতা
আজ অস্তিত্বের সংকটে,
আর সেই মারণ মহামারী
শোনে না শিশুর ক্রন্দন,
ভুখা পেটের আর্তনাদ।
বিশ্ব জুড়ে চলছে মৃত্যু মিছিল।
বছর শুরুর আনন্দে
নতুন পোশাকের আশায় আমার কচিপ্রাণ গুলি
আজ ভুখা মানুষের মিছিলে পা মেলায়।
হায়!বিধাতা,তবু তুমি নির্বিকার!
দিয়েছো শুধু মৃত্যু পরিসংখ্যান আর
মোবাইল নামক যন্ত্রটায় ফুটে ওঠা
সাহায্য আর অসহায়তার নির্লজ্জ প্রতিচ্ছবি।
দেবে কী?এক চিলতে রোদ, এক মুঠো মুক্তি,
বৈশাখী আবেশে একবার মিশে যেতে?
হে বিধাতা,”মানুষ বড় কাঁদছে”
দূরের ওই নীল সমুদ্রে বিলীন নয়,
পাষান ফুঁড়ে মাভৈঃ মন্ত্রে যুদ্ধ যাত্রায় প্রস্তুত আমরা,
মহামারীর চোখ রাঙানিকে নস্যাৎ করে
আবার জেগে উঠবে বিশ্ব।
জানান দেবে “শৃনন্ত বিশ্বে অমৃতস্ব পুত্রাঃ”।
হে বিধাতা,তুমি পাশে থেকো,
শুধু পাশে থেকো।

Leave a Comments

Your email address will not be published. Required fields are marked *