Film Review: Tamasha
অনেককিছুই ভালো ভালো জিনিস আছে, বিশেষত করসিকা - সিমলার দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ, নায়ক -নায়িকার মনভোলানো অভিনয়, রবি বর্মণের নিঁখুত ক্যামেরার কাজ আর দুটো শ্রুতিমধুর গান, তবুও শেষ পর্যন্ত কিছু অপ্রাপ্তি যেন থেকে গেল। সেটা কিসের পরিষ্কার বুঝলাম না, কিন্তু অস্তিত্ব টের পেলাম যেমন চোখের মধ্যে বালি ঢুকলে একটা কিচ্ কিচ্ অস্বস্তি চলতে থাকে সেরকম। হতে পারে ইমতিয়াজ আলির সিনেমা অর্থাৎ ‘ভালো হবেই’ জনিত expectation টাই আসল দোষী। না, সিনেমা খারাপ হয়নি কিন্তু আহামরিও কিছু হয়নি। আরতি বাজাজের সম্পাদনায় ;নায় খামতি সুস্পষ্ট। Jab We Met, Rockstar, 3 Idiots আর Taare Zameen Par-এর সোঁদা হাওয়া বেশ ভালোই বয়েছে গোটা গল্প জুড়ে। তাতে ব্যক্তিগত ভাবে আপত্তির কারণ দেখিনা কারণ বিষয়বস্তুর চেয়েও বেশী গুরুত্বপূর্ণ হল বিষয়বস্তুর উপস্থাপনা, কেনকী সব মানুষই আলাদা, আলাদা তাদের পারিবারিক set up, শৈশব থেকে যৌবনে পা দেওয়ার ধাপ, আলাদা স্বপ্ন ইত্যাদি কিন্তু আলাদা আলাদা মানুষগুলোর কষ্ট, ভালোবাসা, আনন্দ, উত্তেজনা, অভাববোধ এসব তো common. তাই বেসিক্যালি সবার জীবন আলাদা হয়েও কোথাও না কোথাও গিয়ে একটা same. সুতরাং গল্পের পুনরাবৃত্তি চলেছে (এবং চলবে) যদিও পরিচালকদের নাম কখনও রাজকুমার হিরানি, কখনও আমোল গুপ্তে, কখনও ইমতিয়াজ আলি। এখন repeatedly কোন জিনিস চললে as a by product একটা জিজ্ঞাসাসূচক চিহ্ন চলেই আসে - ‘এটা ভালো নাকি আগেরটা ভালো ছিল ?’ মন খুব পাজি জিনিস। যে উত্তরটা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আসছে সেটা স্বীকার করতে হেব্বি ঝামেলা লাগে তখন। মনে হয়, ‘ইস্, এত্তগুলো পয়সা কেটে সিনেমা দেখলাম, ফেসবুকে ঢ্যাঁড়া পিটালাম Watching অমুক সিনেমা অ্যাট তমুক জায়গা উইথ্ তমুক পারসন। এখন এটাকে তেমন মনে ধরেনি বলি কিকরে ?’ অতএব ‘ফ্যান্টাস্টিক লেগেছে’। ব্যস্। কথা শেষ। আবার পরের সপ্তাহে কোন হাই ফাই সিনেমা বেরোচ্ছে তার সাগ্রহে প্রতীক্ষা।
পুনশ্চ: এটা নিতান্তই আমার নিজস্ব অভিমত। অনেকেরই কিন্তু দারুণ লেগেছে সিনেমাটা। অতএব তামাশা দেখবেন কি দেখবেন না সেই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ আপনার এবং আমার লেখা উপর ভিত্তি করে সে সিদ্ধান্ত না নিলেই ভালো।