Film Review: Dil Dhadakne Do

Dil Dhadakne Do
Rating: 4/5

সত্যি কথা বলতে কি, যেসব সিনেমা শুরু থেকেই ইচ্ছেমত প্রচার পায় আমার একটু সন্দেহ চলে আসে সিনেমাটার ব্যাপারে। মানে আদৌ ভালো হবে তো ? যদি product ভালো হয় তাহলে তো এমনিতেই মার্কেটে খাবে লোকে, তাহলে এত এত ঢাকপেটানো কেন ? হ্যাঁ, প্রচার বা ফিল্ম প্রমোশন আজকালকার দিনে ফিল্ম মেকিংয়ের মতই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু তাই বলে এত ? কদিন ধরে সমানে পেপার/টিভি খুললেই একই খবর বিনোদনের পৃষ্ঠায়। একটু বিরক্ত লাগলেও দেখতে গেলাম Zoya Akhtar-এর ফিল্ম বলে। ওনার Zindagi Na Milegi Dobara যতবারই দেখি না কেন, কক্ষনো bore লাগেনা।

এবারও bored হলামনা। হ্যাঁ, নিঁখুত নয়, গল্পটা শেষের দিকে কেমন যেন গতিহারা type. প্রচণ্ড বিত্তের ছড়াছড়ি, কিছু অবাস্তবতা, কয়েকটা জায়গায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত টানা এসব হচ্ছে negative side. কিন্তু positive sides এত বেশী যে negative sides গুলো আরামসে ঢাকা পড়ে যায়। প্রায় তিন ঘন্টার দীর্ঘ সিনেমা সত্বেও দিব্যি সময় কেটে যায় পাখির ডানায়, sorry বিলাসবহুল cruise-এ ভর করে। Zindagi Na Milegi Dobara যেমন স্পেনে tourism বাড়িয়ে দিয়েছিল, Dil Dhadakne Do তেমনি তুর্কীতে tourism বাড়াতে চলেছে আমি নিশ্চিত। তুর্কীর হামাম, আকর্ষণীয় স্নান প্রক্রিয়া মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম। পুরুষ দর্শকদের ঐ জায়গাটা বিশেষভাবে ভাল লাগবে তাও আগে থাকতেই বলে রাখলাম।

আর অভিনয়ের কথা আলাদা করে কি বলব। প্রত্যেকে ভীষণ রকম যথাযথ। রণবীর সিং প্রশংসনীয়। পুরুষরা cute বিশেষণটা শুনতে খুব একটা ভালবাসেন না, কিন্তু রণবীর এখানে একইসাথে cute আর আকর্ষক। বিশেষত continuous হাসির দৃশ্যটায় তিনি একদম স্বাভাবিক। মনে হচ্ছিলো যেন সত্যি সত্যি তাঁর হাসি পাচ্ছে, পরিচালিকার “Start..Camera..Action” শুনতে না পেয়ে। অনিল কাপুর ফাটাফাটি। গোটা সিনেমায় অন্ততঃ পাঁচটা দৃশ্য তো আছেই যেখানে তিনি প্রমাণ করেছেন মাধুরী-শ্রীদেবীর সাথে এককালে কোমর দুলিয়ে নাচা আর ন্যাকা ন্যাকা সংলাপ বলার চেয়েও উনি আরও উঁচুদরের কাজ জানেন l তাঁর অভিনয় দেখছিলাম আর মুগ্ধ হচ্ছিলাম। ঠিক যেমন মুগ্ধ করেছেন শেফালি শাহ্, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, অনুষ্কা শর্মা। প্রিয়াঙ্কার role-টা (আয়েষা) একটু অবিশ্বাস্য ধরনের। Forbes’ list-এ যার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির নাম, যে কোম্পানি আবার তিনি নিজের গয়নাগাঁটি বেঁচে বানিয়েছেন সেই মহিলা নিজের বাবা-স্বামী-শ্বশুরবাড়ির অন্যায় নিয়মের কাছে এমন গভীরভাবে প্রতিবাদহীন কেন সেই নিয়ে প্রশ্ন জাগে। ফারহান আখতারের বিশেষ কিছু করার ছিলনা (special appearance), যেটুকু করার ছিল ভাল করেছেন। অনুষ্কার মনমাতানো নাচ, প্রিয়াঙ্কার সরু সাপের মত কোমর, রণবীরের পেশীবহুল বাইসেপস্ আর সহঅভিনেতাদের ঠিকঠাক support এই সিনেমার bonus points. বোনাস পয়েন্টস আরেকটাও আছে। সেটা হল inferiority complex. সাংঘাতিক ধন আর ঐশ্বর্যের প্রাচুর্য যা আমি-আপনি হয়ত আগামী জন্মেও পাব কিনা সন্দেহ সেই অপরিসীম বিলাসব্যসন দেখে আমার চোখ চড়কগাছ।

অবশ্যই দেখবেন, বন্ধুরা মিলে দেখলে বেশী উপভোগ করবেন।

Leave a Comments

Your email address will not be published. Required fields are marked *