Film Review : Drishyam

আজকালকার social media জমানায় আমরা ঝপাঝপ selfie তুলি, কোথাও ঘুরতে গেলে travelogue না লিখে ফেসবুকে অ্যালবাম বানিয়ে ছবির নীচে নীচে caption দিয়ে ভ্রমণবৃত্তান্ত জানাই। দুর্গাপূজো আসছে। আমার মতো অনেক প্রবাসী বাঙালি কলকাতা যেতে পারেনা সেসময়, কিন্তু দুধের স্বাদ ঘোলে কিছুটা মেটে যখন কলকাতাবাসী বন্ধুরা ছবি আপলোডান ফেসবুক/হোয়াটসঅ্যাপে। কোন মন্ডপ কেমন সাজিয়েছে, কে কিকরম জামা পরে ঘুরছে, প্রতিমার মুখ সব এক নিমেষে ধরাছোঁয়ার মধ্যে চলে আসে ফটো দেখতে দেখতে। আর এটাই হচ্ছে দর্শনের কালজয়ী ক্ষমতা - অনেকসময় চোখ দিয়ে সরাসরি না দেখেও আমরা ছবিসাজানো গল্প শুনেই মনে মনে visualize করে নিতে পারি কোন বিশেষ ঘটনা বা মানুষ সম্পর্কে, নিশিকান্ত কামাট পরিচালিত ‘দৃশ্যম’ সেই মনস্তাত্বিক আধারের প্রতিফলন।

অজয় দেবগণ আর টাবু বেশ ভালো। মোটের ওপর সিনেমাটাও খারাপ না, তবে মোহনলাল বা কমল হাসানের দৃশ্যমের কাছাকাছি এটা কোনওভাবেই আসবেনা। শ্রিয়া শরণ confirm করে দিয়েছেন তিনি খারাপ অভিনেত্রী, তদুপরি মেকআপ আর্টিস্টের কাজ আরও খারাপ - শ্রিয়ার দামী শাড়ি, কেশসজ্জা তাঁর role-এর সাথে ভয়ংকর বেমানান। কমলেশ সাওয়ান্ত negative রোলে জমিয়ে দিয়েছেন। আজকালকার সহজলভ্য মোবাইলে আপত্তিকর ফটো বা ভিডিও তোলা + Blackmail + Sexual harassment একটা মেয়ের সাথেসাথে গোটা পরিবারের শান্তি কিভাবে তছনছ করে দিতে পারে সেটা নিয়ে আগেই আমরা Dev.D ইত্যাদি সিনেমা দেখেছি। দিল্লির DPS School থেকে সেই কবে শুরু হয়ে সাম্প্রতিককালের বেশ কিছু ঘটনা তার সাক্ষী। একটু আশা লাগে, হয়তো সিনেমার মতো শক্তিশালী মাধ্যমের হাত ধরে বার্তাটা সঠিক জায়গায় পৌঁছবে।

শেষ দৃশ্যেই আসল চমক, যদিও মূল মালয়ালম সিনেমার হুবহু copy প্রায় সর্বত্রই - frame + screen + dialogue শুদ্ধ। এটাই খারাপ লাগে, কারণ দিব্যি ঘোষণা করা হয়েছিল হিন্দি ‘দৃশ্যম’ নাকি মালয়ালম ‘দৃশ্যম’-এর Official Remake. এতটাই টুকলিবাজি যে ‘দৃশ্যম’ নামটা পর্যন্ত অপরিবর্তীত, কেন কথাটার হিন্দি নাম নেওয়া যেতনা ?

আগেই বললাম, সিনেমার মেসেজটা ভালো। আমরা যখন কিছু দেখি সেই অনুভবের signal আমাদের brain-এর cerebral cortex-এ অনেক তাড়াতাড়ি পৌঁছে যায় একই জিনিস পড়া বা শোনার চেয়ে। ঠিক যেকারণে school college-এ field study একটা উল্লেখযোগ্য অঙ্গ। মূল ভূমিকায় অজয় দেবগণ সাধ্যমতো অভিনয় করলেও তাঁর জায়গায় নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি বা ইরফান খান হলে পুরো সিনেমাটা নিঃসন্দেহে আরও উপভোগ্য হত।

Comments
  1. Kaushik Roy

Leave a Comments

Your email address will not be published. Required fields are marked *